Top 5 This Week

হালুয়াঘাটে ‘ভুল চিকিৎসায়’ পা কেটে ফেলার অভিযোগ

বিডিটাইম ডেস্ক

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগে এক কয়লা শ্রমিকের পায়ের আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে বিচার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

ভুক্তভোগী রাকিব মিয়া (২৮) হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গোবরাকুড়া বন্দরে কয়লা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

রাকিব জানান, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি কয়লার স্তূপ পড়ে গিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেতলে যায়। এরপর হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। জরুরি বিভাগের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. জাকারিয়া নখ তুলে ফেলার পরামর্শ দেন এবং ইনজেকশন দিয়ে নখ তোলেন। এরপর একটি ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছুটি দেন। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসার জন্য তাঁকে এক হাজার টাকাও দিতে হয়েছে।

কিন্তু কিছুদিন পরই আঙুলে পচন দেখা দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, আঙুলের হাড়ে একটি ভাঙা ইনজেকশনের সুঁই রয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা পচনের কারণে আঙুল কেটে ফেলতে বাধ্য হন। পরে পা-ও কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে পরিবার চরম আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির মুখে পড়ে।

রাকিবের অভিযোগ, ইনজেকশন দেওয়ার সময় ভাঙা সুঁই রেখেই তা পায়ের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দেন ডা. জাকারিয়া। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় অভিযোগ করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ডা. জাকারিয়া বলেন, “রাকিব মাস চারেক আগে এসেছিলেন, এরপর আর যোগাযোগ করেননি। হঠাৎ করে এমন অভিযোগ উঠেছে।” তিনি ভাঙা সুঁই রেখে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটা একেবারেই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হারুন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, “রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish