বিডিটাইম ডেস্ক
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ফুল শাপলা প্রতীক পেতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতীকটি দাবি করায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতীক তফসিলে শাপলা যুক্ত করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে ইসি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কমিশন প্রতীক তফসিল (তালিকা) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ৬৯টি প্রতীক তফসিলভুক্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, “আমরা প্রতীকের তালিকাটি ৬৯ থেকে ১০০-এ উন্নীত করতে চাই। এতে শাপলা, কলম, কলা, চেয়ারের মতো প্রতীক অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি তফসিলে নেই। আদালতের রায়ে জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এই প্রতীকও পুনরায় তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
বর্তমানে তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি নিবন্ধিত দলের জন্য সংরক্ষিত এবং ১৯টি প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনসিপিসহ একাধিক নতুন রাজনৈতিক দল।
নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক এসএম মহিদুজ্জামান মহিদ জানান, তারা শাপলা ও দোয়েল প্রতীকের জন্য আবেদন করেছেন, তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এই দুটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
এদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা শাপলা, কলম ও মোবাইল—এই তিনটি প্রতীকের জন্য আবেদন করেছি। শাপলা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের আইনের বিভিন্ন ধারা পর্যালোচনা করেছি, সেখানে কোনো বাধা দেখি না। যেমন জাতীয় ফল কাঁঠাল একটি দলের প্রতীক হিসেবে রয়েছে, সেক্ষেত্রে জাতীয় ফুল শাপলাও প্রতীক হতে বাধা থাকার কথা নয়। তাছাড়া ধানের শীষ ও তারকা—এই দুটি জাতীয় প্রতীকও ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের প্রতীক হিসেবে রয়েছে।”
নতুন দলগুলোর এই প্রতীক দখলের প্রতিযোগিতায় নির্বাচন কমিশন এখন প্রতীক সংক্রান্ত নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের দিকে যাচ্ছে বলেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।