বিডিটাইম ডেস্ক:
গাজার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত কয়েক সপ্তাহে চালানো পাঁচটি আলাদা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জন শিশু। এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল এমন সব এলাকা, যেগুলোর বেশ কয়েকটি আগেই ‘মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
প্রথম হামলাটি ঘটে গত ১৭ এপ্রিল, খান ইউনুসের মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে। এখানে আবু আল-রুস পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন নারী ও পাঁচজন শিশু ছিলেন। হামলার পর পাওয়া ফুটেজে দেখা যায়, একটি অস্থায়ী তাঁবু পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
একই দিন বেইত লাহিয়ায়, আল-আতাল পরিবারের ৬ সদস্য এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আসালিয়া পরিবারের ৭ জন নিহত হন। জাবালিয়ার নিহতদের মধ্যে ছিলেন এক দম্পতি ও তাদের পাঁচ সন্তান।
এরপর ১৯ এপ্রিল মাওয়াসির একটি ব্রিটিশ ফিল্ড হাসপাতালের কাছে আবারও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় নিহত হন আবু আল-নিদা পরিবারের তিন সদস্যসহ পাঁচজন।
২১ এপ্রিল মাওয়াসির কারজা ক্যাফের বিপরীতে চালানো স্কাইস্ট্রাইকার ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান হাসান আবু জাইদ ও তার স্ত্রী ইসরা আল-মাঘরি।
অস্ত্র বিশ্লেষক ও সাবেক মার্কিন সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক নিষ্কাশন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এসব ড্রোন ‘লোটারিং মিউনিশন’ বা ঘুরে বেড়ানো বোমার মতো কাজ করছে। এগুলো লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে নির্দিষ্ট সময় ধরে চক্কর দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আঘাত হানে— যা মানবিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, শরণার্থী শিবির ও ঘোষিত মানবিক অঞ্চলের ওপর এভাবে হামলা চালানো স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধের শামিল।