Top 5 This Week

নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করার আহ্বান সিপিডির

বিডিটাইম ডেস্ক

নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনই নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তারা এ দাবি জানায়। সিপিডির মতে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার মাধ্যমে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কমিয়ে বিনিয়োগে চাঞ্চল্য আনার পথ তৈরি করা জরুরি।

সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের একটি সময়সীমা ঘোষণা করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এখন সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, নির্বাচিত সরকার এলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে—এমনটা ভাবার সুযোগ নেই।”

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ানো। কিন্তু বিনিয়োগে গতি ফিরছে না। এর পেছনে জ্বালানি সংকট, দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি অন্যতম কারণ।

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বড় সম্মেলন করলেও গ্যাস সরবরাহ, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও ওয়ান-স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে না পারায় অনিশ্চয়তা কাটছে না।”

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, দেশের রাজস্ব আদায় ‘দুষ্টচক্রে’ আটকে আছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির আশঙ্কা করছেন তারা। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমলেও এখনো তা সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে প্রভাবিত করছে।”

সিপিডি জানায়, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২.৮ শতাংশ, যেখানে আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ১০.৭ শতাংশ। জুলাই–জানুয়ারির মধ্যে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ৫.৩ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম।

সিপিডির মতে, সরকারের কিছু সংস্কার উদ্যোগ যেমন এনবিআরকে দুই ভাগে ভাগ করা, পুঁজিবাজারে সুশাসন আনয়নের প্রচেষ্টা, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে পদক্ষেপ ইত্যাদি এখনো কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারেনি। কর প্রশাসনের ভেতরেই সংস্কার কার্যক্রমে প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে খণ্ড খণ্ড সংস্কারের বদলে একটি সুস্পষ্ট, সমন্বিত এবং সাহসী রূপরেখা নিতে হবে। বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের কাঠামো গড়ে তোলা দরকার।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish