বিডিটাইম ডেস্ক,
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দেশটির জান্তা সরকারের প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খান।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) আইসিসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এক ভিডিও বার্তায় করিম খান বলেন, আমার অফিস বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার ১-এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করেছে।
তিনি বলেন, “২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা এবং পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নির্বাসনের সময় সংঘটিত কথিত অপরাধের তদন্ত ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে আমরা করছি।”
“বিস্তারিত পরিসরে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরেই মিয়ানমার জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওযা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিশেষত নির্বাসন এবং নিপীড়নের মতো অপরাধ মিয়ানমার এবং আংশিকভাবে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে,” বলেন করিম খান।
মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনের বিষয় করিম খান বলেন, ‘এটি মিয়ানমার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন। আরও আবেদন করা হবে শিগগির।”
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে ক্ষমতা নেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ও নিপীড়নের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠে।
আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, “এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত খুব ভালো খবর। আমরা চাই সামরিক শাসককের সাথে আরো যারা রোহিঙ্গা জেনোসাইডে জড়িত তাদেরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক।”
“পাশাপাশি তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি নিশ্চিত করলে আগামীতে এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকবে অন্যরাও। এর ফলে আমাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া পথ আলো মুখ দেখবে,” বলেন তিনি।