বিডিটাইম ডেস্ক
বগুড়ায় ৮৫০ পিস ইয়াবাসহ তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন—বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত নায়েক আবদুল আলিম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল আবদুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায়।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের সাতমাথা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সন্দেহভাজন অবস্থায় তিনজনকে আটক করা হলে আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭০০ পিস ইয়াবা। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কনস্টেবল সাখাওয়াত ও ওয়াহাবের সঙ্গে ইয়াবা বিক্রির লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। সাখাওয়াতের বিকাশ নম্বর যাচাই করে ২৭ হাজার টাকার লেনদেনের সত্যতা মেলে।
পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে নবাববাড়ি সড়কের পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে নায়েক আবদুল আলিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় আরও ১৫০ পিস ইয়াবা।
ডিবি পুলিশ জানায়, আটক চারজন একে অপরের পূর্ব পরিচিত এবং তারা ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছর তারা বিভিন্ন জেলায় বদলি হন। তবে মাদক ব্যবসার স্বার্থে তাদের যোগাযোগ অটুট ছিল।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, “ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না।” ইতোমধ্যে নায়েক আবদুল আলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বাকি তিনজনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।