বিডিটাইম ডেস্ক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ মাজার থেকে রংমহল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ থমকে রয়েছে তিন বছর ধরে। ঠিকাদার মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ মোট কাজের ৬০ শতাংশ সম্পন্ন করলেও ৮০ শতাংশ বিল নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে লাপাত্তা থাকার কারণে পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সড়কটিতে বিছানো খোয়া উঠে গেছে, ধুলাবালি জমে সামান্য বৃষ্টিতেও সড়ক কাদাপানি ও খোঁচাখোঁচা হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা যানবাহন ও পথচারীদের জন্য সড়কটিতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি বরাদ্দের বড় অংশ ঘুষ-খাজনার নামে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দিতে হয়। কাজ চলাকালে প্রকৌশলী ও অফিস সহকারীসহ যারা সাইটে যান, তাদের হাজিরা ফি হিসেবে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এই আর্থিক চক্রের কারণে মানসম্মত কাজ করা সম্ভব হয় না এবং অনেক ঠিকাদার কিছুদিন কাজ করে বিল নিয়ে উধাও হয়ে যান।
২০২১-২২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেন। প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৪ টাকা, যা ঠিকাদার ৬৬ লাখ ১১ হাজার ৮৯৯ টাকায় কাজ গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা আজ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
অবস্থান সংকটের কারণেই এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বহুবার চিঠি দিয়েও সাড়া না পেয়ে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করেছে এবং পুনঃদরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, “ঠিকাদার প্যালাসাইডিং, সাববেজ, সেন্ট ফিলিং ও ডব্লিউবিএম কাজ করেছে, বাকি কাজ না করায় চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে।”
সড়কটি দিয়ে নওগাঁয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাজার, কলেজ, মাদ্রাসা, হাটবাজার ও ব্যাংকের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় এর বেহাল দশা জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।