পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় পূর্ব বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্রের হামলায় মো. ফাহিম বয়াতি (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর বাবা মো. জাকির হোসেন বয়াতি (৪৩)।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে উপজেলার ধলুফকির বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে একদল তরুণ ধারালো অস্ত্র নিয়ে জাকির হোসেন ও তাঁর ছেলে ফাহিমের ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাঁদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে সেখান থেকে বরিশাল পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মো. কামাল হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, “হঠাৎ ১০-১২ জন তরুণ এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমি ফাহিমকে বাঁচাতে চেষ্টা করি, কিন্তু হামলাকারীরা ভয়ানক তাণ্ডব চালায়।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইব্রাহীম মৃধা জানান, ফাহিম ও সোহাগ মীর নামে এক যুবকের মধ্যে আগে বিরোধ ছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হলেও, প্রতিপক্ষ ক্ষান্ত হয়নি। কোরবানির ছুটিতে ফাহিম ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়।
ফাহিম বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামের বাসিন্দা। হামলার অভিযোগে আটক সানু মীরের বাড়িও একই গ্রামে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার শুভ জানান, “আহত দুইজনকে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তরুণ একজন আগেই মারা যান। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে।”
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলিম বলেন, “ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত সানু মীরকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।”
এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।