সিলেট প্রতিনিধি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার মাধ্যমে প্রায় ৭০০ শিক্ষক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হ্যাকাররা তাদের রোল নম্বর, ব্যাচ ও জন্মতারিখ ব্যবহার করে ভুয়া আবেদন জমা দিয়ে ফেলেছে। ফলে প্রকৃত প্রার্থীরা আর আবেদন করতে পারছেন না।
এই ঘটনার শিকার হয়েছেন মূলত আরবি প্রভাষক ও লাইব্রেরিয়ান পদের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতরা সাইটে প্রবেশ করে প্রকৃত উত্তীর্ণদের তথ্য দিয়ে একাধিক আবেদন জমা দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফিও জমা দেয়, যাতে পুনরায় আর কেউ আবেদন করতে না পারে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল ৪ জুন প্রকাশিত হয়। এনটিআরসিএ ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ২২ জুন থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষক তখনই দেখতে পান, তারা সাইটে ঢুকতে পারছেন না—তাদের তথ্য ব্যবহার করে কেউ ইতিমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে আছেন কুমিল্লার লাকসামের রহমত আলী, যিনি ৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হন। তিনি জানান, “আমার নাম, ছবি, স্বাক্ষর — কিছুই সেই আবেদনে নেই। আমার তথ্য দিয়ে অন্য কেউ আবেদন করেছে।”
সিলেট, হবিগঞ্জ, বগুড়া, ময়মনসিংহসহ দেশজুড়ে এমন অভিযোগ করেছেন শত শত শিক্ষক। হবিগঞ্জের রাফি উদ্দিন, সিলেটের আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কাশেমসহ অনেকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।
এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক মাইনুল ইসলাম জানান, বগুড়া থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
এনটিআরসিএর আরেক সহকারী পরিচালক এসএম আতিয়ার রহমান জানান, যারা প্রকৃতভাবে আবেদন করতে পারেননি, তাদের জন্য দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।