বিডিটাইম ডেস্ক
২১ শতকের শুরু থেকে তুরস্ক তার পররাষ্ট্রনীতিতে বড় রকমের পরিবর্তন এনেছে। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সরে গিয়ে তারা এখন পূর্বমুখী—মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরেশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সক্রিয়। এই প্রক্রিয়ায় তারা জ্বালানির করিডোর, বাণিজ্যপথ ও কৌশলগত অবস্থান দখল করতে চায়।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমে যাওয়ার সুযোগে তুরস্ক নতুন বলয় গড়ে তুলতে চাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই তৎপরতা আরও তীব্র হয়েছে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে। ওই বছর মোহাম্মদ ইউনুসের ইসলামপন্থী সরকার ক্ষমতায় এলে তুরস্কের রাজনৈতিক ও আদর্শিক প্রভাব নাটকীয়ভাবে বাড়ে।
বাংলাদেশে তুরস্ক-সমর্থিত একটি এনজিও ‘সলতানাত-এ-বাংলা’ নামে একটি বিতর্কিত মানচিত্র ছড়িয়েছে, যেখানে ভারতের অংশবিশেষকে বাংলাদেশের ভেতরে দেখানো হয়েছে। এতে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। ভারত মনে করছে, এটি শুধু মানসিক উসকানি নয়, বরং তুরস্কের দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে সুদূরপ্রসারী কৌশলের অংশ।
এদিকে পাকিস্তান তুরস্কের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কাশ্মীর ও আফগানিস্তান ইস্যুতে উভয়ের অবস্থান প্রায় অভিন্ন। যৌথ ড্রোন ও সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এই অবস্থানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক আধিপত্যের উপর চাপ বাড়ছে।
তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হলেও রাশিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম বিশ্বকে একীভূত করার প্রচেষ্টা পশ্চিমা নীতির সঙ্গে অনেক সময় সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার একটি নতুন মঞ্চ।