বিডিটাইম ডেস্ক
রাশিয়ার উদীয়মান ফ্যাশন ডিজাইনার লেভ এরমিলভ মনে করেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় শুধু একটি ফেব্রিক নয়, বরং এটি একটি জীবন্ত শিল্প।
করোনা মহামারির শেষ দিকে, ২০২০ সালের শেষভাগে যাত্রা শুরু করেন নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘এরমি’ নিয়ে। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই তাঁর নকশায় উঠে এসেছে কাপড় নিয়ে নতুন চিন্তা, রঙের পরিশীলন আর নিজস্ব ভাষা। গত মার্চে মস্কো ফ্যাশন উইকের রানওয়েতে ছিল তাঁর পোশাকের প্রদর্শনী। “মসলিন তৈরির প্রাচীন পদ্ধতি জানলে বোঝা যায়, এটি নিছক কাপড় নয়, বরং একধরনের আর্টওয়ার্ক,”—বললেন এরমিলভ।
ব্র্যান্ডের পেছনের গল্প
নিজের নাম এরমিলভ থেকেই ব্র্যান্ডের নামকরণ করেন—‘এরমি’। আইসল্যান্ডিক ভাষায় এর অর্থ ‘হাতা’। এরমিলভ মনে করেন, পোশাক মানে কেবল শরীর ঢাকা নয়, বরং এটি শিল্পচর্চার একটি মাধ্যম।
তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে
তিনি বলেন, “আমরা ডিজাইনাররা নিজেদের কাজেই বেশি মনোযোগী। তবে যাঁরা নতুন আসছেন, তাঁদের অনেকেই অপ্রচলিত বিষয়কে সাহসের সঙ্গে তুলে আনছেন। এটা আমাদের ফ্যাশন দৃশ্যকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলছে।”
বাংলাদেশি পোশাক নিয়ে অভিজ্ঞত
এরমিলভ বলেন, “শাড়ির কথা জানি। খুব সুন্দর ও পরিচিত একটি পোশাক। আর পুরুষদের একটি পোশাক আছে, দেখতে অনেকটা স্কার্টের মতো—সম্ভবত লুঙ্গি। পাঞ্জাবির কথাও শুনেছি।”
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসলিন ও জামদানির প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ রয়েছে। তাঁর ভাষায়, “মসলিনের পেছনে যে সূক্ষ্ম শিল্প ও সময় জড়িয়ে আছে, তা অনন্য। জামদানির নকশাও খুব দৃষ্টিনন্দন।”
মস্কো ফ্যাশন উইকে ‘এরমি’
সাম্প্রতিক মস্কো ফ্যাশন উইকে ‘এরমি’র কালেকশন ছিল এক ধরনের রঙ ও ডাইং কৌশলের পরীক্ষা। তিনি বলেন, “আমি চেয়েছি কাপড়ের মধ্যে শেড, টোন ও কনট্রাস্টের মধ্য দিয়ে একটা নতুন অভিজ্ঞতা দিতে।”
পরবর্তী পরিকল্পনা
ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে এরমিলভ জানান, তাঁর মাথায় অনেক নতুন আইডিয়া ঘুরছে, তবে কোনটা দিয়ে শুরু করবেন, সেটা এখনো চূড়ান্ত করেননি।