বিডিটাইম ডেস্ক
একটি নিখুঁত ফ্রেমের সন্ধানে ক্যামেরা তাক করেই ছিলেন তরুণ ফটোগ্রাফার ইসতিয়াক আহমেদ। প্রকৃতির রঙে রাঙানো কৃষ্ণচূড়ার দৃশ্য বন্দি করতে গিয়ে নিজের জীবনটাই হারাতে হলো তাকে। রাজধানীর কুড়িলে রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় দ্রুতগতির ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান তিনি। শুক্রবার বিকেলে ঘটে এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসতিয়াক রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়ার ছবি তুলছিলেন। তিনি ক্যামেরায় এতটাই একাগ্র ছিলেন যে পেছন দিক থেকে ছুটে আসা ট্রেনের আগমন টের পাননি। ট্রেনটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন আসার মুহূর্তে ইসতিয়াক নিজের ক্যামেরায় ব্যস্ত, চোখ তার ভিউফাইন্ডারে—আর পেছনে ছুটে আসছে মৃত্যু। সময়মতো সরে যেতে না পারায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান তিনি।
জানা গেছে, ইসতিয়াক আহমেদ রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান সৌখিন ফটোগ্রাফার। তার তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হতো। প্রকৃতি, ফুল, জীবনধারা—এই বিষয়গুলোতেই ছিল তার বিশেষ আগ্রহ।
ইসতিয়াকের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সহপাঠী, পরিচিতজন ও ছবিপ্রেমীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, “যে ছবি মানুষকে মুগ্ধ করতো, আজ সে-ই ছবি তার মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে রইলো।”
ফটোগ্রাফির প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসাই ইসতিয়াককে ক্যামেরার ফ্রেমে বেঁধে ফেলেছিল — কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই ফ্রেমটাই হয়ে গেল জীবনের পরিসমাপ্তি।