মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা থেকে মাকহাটি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মুন্সীগঞ্জ-কাটাখালী-মাকহাটি সড়কের বেহাল দশায় প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো মানুষ। রাস্তার গর্তে জমে থাকা পানি, কার্পেটিং উঠে যাওয়া এবং ড্রেজার পাইপ বসানোর কারণে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। সড়কটির সংস্কারে দীর্ঘদিন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
ছোট কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রোমান হোসেন প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, “অটোরিকশাচালকেরাও যেতে চায় না। প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার সার্কিট হাউস থেকে শুরু হয়ে কাটাখালী, ঋষিবাড়ি, সাতানিখিল, লোহারপুল, বাগেশ্বর বাজার, নুরাইতলী হয়ে সড়কটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একদিকে মাকহাটি বাজার এবং অন্যদিকে আলদী বাজারের দিকে গিয়েছে। সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত, কোথাও কোথাও পানিতে ডুবে থাকা খানাখন্দ এবং ভাঙা কার্পেটিং সড়ককে চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে। বিশেষ করে সাতানিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের পূর্ব পাশ দেবে গিয়ে প্রায় কাত হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তগুলো পানিতে ভরে যায় এবং দুর্ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলাশ শেখ নামের একজন যাত্রী বলেন, “এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন, গালাগাল করেন। অথচ দেখার যেন কেউ নেই।”
সাতানিখিল এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় একটি চক্র অবৈধ ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে সড়কের একটি বিশাল অংশ ধ্বংস করেছে। বালুদস্যুরা ধসে পড়া স্থানে বালু ফেলে দিলেও যান চলাচল এখনো ঝুঁকিপূর্ণ।
সড়কটি কয়েক বছর আগে আলাদা প্রকল্পে সংস্কার করেছিল মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি। পৌর এলাকার মধ্যে পড়া দেড় কিলোমিটার সড়কের খানাখন্দ শিগগিরই সংস্কার করা হবে। পৌরসভার বাইরের অংশের দায়িত্ব এলজিইডি নিয়েছে, তারাও প্রকল্প তৈরি করেছে বলে শুনেছি।”
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে এবং জনভোগান্তি সহ্যের সীমা ছাড়াবে।