বিডিটাইম ডেস্ক
অবৈধভাবে পরিচালিত একটি সিসা কারখানার বিরুদ্ধে কথা বলায় সাভারের আশুলিয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন এনসিপির শ্রমিক উইং ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বুধবার (১৪মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়াইলবাড়ি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আটজন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের অভিযোগ, সিমুলিয়া এলাকায় পুরোনো ব্যাটারি গলিয়ে সিসা উৎপাদনকারী একটি অবৈধ কারখানা থেকে তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় একজনের মাধ্যমে জানতে পেরে থানায় ও উপজেলা প্রশাসনে জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ চাইলে তাঁরা তা সংগ্রহ করতে গেলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করে তাঁদের ডেকে নেয়। পরে গোয়াইলবাড়ি বাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস থেকে নামা লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক রিফাত আহমেদ (ইমন), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলার যুগ্ম সদস্যসচিব তাওহিদুল ইসলাম (সানভি) ও জ্যেষ্ঠ সহ-মুখ্য সংগঠক হৃদয় হাসানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, একজনের মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে এবং বাকিদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
আহত বাকি পাঁচজন—ওবায়দুল ইসলাম, আল মাসুম (সজীব), ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সৈয়দ ইমন এবং তাওহিদ আহমেদ (শান্ত)—কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নেতাকর্মীরা জানান, তাঁরা শুধু জনস্বার্থে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একদল লোক তাঁদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে। তাঁদের ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা বারবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুলের নাম উল্লেখ করছিল।
এ বিষয়ে মুকুল বলেন, “ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। টাকা নেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন। রাতে ফোন পেয়ে আমি জানিয়েছি, ওই এলাকায় আমাদের কেউ যায়নি।”
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করেছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”