ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজস্ব কম্পিউটার সেন্টারে এক ছাত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক শিক্ষক। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
গত ১৩মে বুধবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার হাওলাদার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি নিজস্ব ‘শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার’-এ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে এক ছাত্রী একাই ওই সেন্টারে গেলে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করে। পরে শিক্ষক রক্তিম ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাজার থেকে ফুল ও খাবার আনেন। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা সেন্টারে ঢুকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীসহ কিছু উপকরণও উদ্ধার করা হয়।
এরপর উত্তেজিত জনতা শিক্ষককে সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পরে তাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম জানান, ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ে জরুরি সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “শিক্ষক রক্তিম শর্মা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষক রক্তিম এর আগেও এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন, কিন্তু প্রতিবারই পার পেয়ে গেছেন। এবার তারা তার বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।