Top 5 This Week

আত্মহত্যা না কি পারিবারিক নির্যাতনের পরিণতি

Spread the love

বিডিটাইম ডেস্ক

আলোচিত র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার আত্মহত্যার ঘটনায় নানামুখী বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্ত্রীকে দোষারোপ করছেন, অন্যদিকে ফরিদপুরে শ্বশুরবাড়ি ও প্রতিবেশীরা বলছেন—নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা।

শাশুড়ি আরতি সাহার আচরণই এ দাম্পত্য জীবনের ফাটলের মূল কারণ বলে দাবি করছেন তারা।

ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ায় পলাশের শ্বশুর ভরত সাহা (৬২) বলেন, “আমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসত পলাশ। নিজের হাতে খাওয়াত, সময় পেলেই ঘুরতে যেত। কিন্তু এগুলো পছন্দ ছিল না পলাশের মায়ের। আমার মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করত, যেন সে কাজের মেয়ে।” কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়েটা কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, এখন ওকে নিয়েও ভয় পাচ্ছি।”

সুস্মিতার চাচাতো ভাই ব্যাংকার পার্থ সাহা বলেন, “১৮ বছর বয়সে পলাশ নিজেই আগ্রহ দেখিয়ে সুস্মিতাকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানা সময় তার উপর চাপ সৃষ্টি হতো। তবে পলাশ সবসময়ই ওর পাশে ছিল। সমস্যা ছিল তার পরিবারের সঙ্গে।”

পড়শি গৃহবধূ দীপা সরকার বলেন, “তিন দিন আগে সুস্মিতা বলেছিল, পলাশ রান্না করা ডালের প্রশংসা করে। এটা শুনেই শাশুড়ি ডালের বাটি ছুড়ে ফেলে দেন। পরে সে রাতে সুস্মিতা আত্মহত্যার পোস্ট দিয়েছিল ফেসবুকে। আরতি সাহার পিড়াপিড়িতে সেই পোস্টও তুলে নেয় সে।”

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার র‌্যাব-৭ কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা বুধবার সকালে নিজ অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যান।

পুলিশ জানায়, সুইসাইড নোটে পলাশ লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য মা ও বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর।”

তবে পলাশের ভাগনি প্রিয়তা পূজা সাহা এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “পলাশের মৃত্যুর জন্য তার পরিবারের মানুষের দোষ সব থেকে বেশি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish