ঢাকা প্রতিনিধি:
রাজধানী ঢাকায় সোমবার (৭ জুলাই) দিনভর তীব্র যানজটে নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা। চিকিৎসকদের পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, রাষ্ট্রপতির চলাচলসহ একাধিক ঘটনার ফলে রাজধানীর মহাখালী, শাহবাগ, বনানী, বেইলি রোড, কাকরাইল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) চিকিৎসকদের এফসিপিএস পরীক্ষা ঘিরে সকাল থেকেই চার হাজারের বেশি গাড়ি একত্রিত হয়। দুপুরে পরীক্ষা শেষে পুনরায় এসব গাড়ির চলাচল শুরু হলে যানজট আরও বাড়ে।
এদিকে দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালী সড়ক অবরোধ করে। একই সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সেনানিবাসে যাওয়ার পথে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
শাহবাগ থেকে কাকরাইল পর্যন্ত বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যদের পদযাত্রা, আর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারা প্রার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলও যানজট পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলে।
ফলে যানজটের প্রভাব এক এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। গুলশান থেকে মহাখালী পৌঁছাতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে বলে জানান যাত্রী শাহিদা আখতার। কুর্মিটোলা থেকে বনানী যাওয়ার পথে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে আধা ঘণ্টার বেশি সময় আটকে ছিলেন মো. আতাউর।
কারওয়ান বাজারে আসতে রিকশায় এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে বলে জানান সাহেলা আক্তার। তিনি বলেন, মূল সড়ক ছাড়িয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ভিতর দিয়েও বাস চলতে দেখা গেছে।
বেইলি রোডেও যানজটের কবলে পড়েন অনেকেই। মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শাহবাগ থেকে মালিবাগ যেতে গিয়ে বেইলি রোডে আটকে পড়েন। অবশেষে মোটরসাইকেল ফেলে হেঁটে পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হন তিনি।
মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “চিকিৎসকদের পরীক্ষা, রাষ্ট্রপতির চলাচল এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যানজট তৈরি হয়। সকাল থেকে শুরু হয়ে তা রাত পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং শহরের অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে।”
এদিন দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকার যানজট নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ ও ভোগান্তির বর্ণনা উঠে আসে।