Top 5 This Week

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ কুবির কর্মচারী জসিমের বিরুদ্ধে

কুবি প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ও প্রকৌশল শাখার প্ল্যাম্বার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য রেড সেল গঠন করেছিল কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ।

গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ তাদের উপর ওপেন ফায়ার ও লাঠিচার্জ করে। ওই মিছিলে দেশীয় অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং ৩ আগস্ট বিজয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিটিং করে শিক্ষার্থীদের দমন করার পরিকল্পনা করেন। এমন একটা ভিডিও কালবেলার হাতে এসেছে।

মিটিংয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি, জামাত-শিবির দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তারা ছাত্র নয় অছাত্র কর্তৃক রাস্তা প্রতিবন্ধকতা, জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এই কাজ করার সাহস পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকার কারণে ।

তিনি আরো বলেন, প্রতি সেকশনে যদি ১২০০ স্টুডেন্ট ভর্তি হয়। প্রতি বছরে যদি আমরা ১০০ ছাত্রলীগ সৃষ্টি করতে পারি, ১০০ ছাত্রলীগ পাঁচ বছরে ৫০০ ছাত্রলীগ নেতা সেখানে সৃষ্টি হয়ে যায়। আর ৫০০ ছাত্রলীগের দু’জন করে কর্মী হলে হাজার-পনেরশ নেতা আমাদের ক্যাম্পাসে থাকত। এই পনেরশ নেতা যদি বাঁধা দিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বরোডে আসতে পারত না। ছাত্রলীগ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট সেখানে সারা দেশেই সংকট। সে সময় তাকে জামায়াত শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়; সারা বাংলা খবর দে, রাজাকারদের কবর দে; এই ধরনের স্লোগান দিতে ও দেখা যায়।

এ বিষয়ে জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আমার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি কখনো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলাম না। ভিডিও সম্পর্কে তিনি বলেন এগুলো ফেইক ভিডিও। আমার নামে কিছু করিয়েন না ভাই। এছাড়াও তার নামে কোন নিউজ না করার জন্য কুমিল্লা জেলা পেশাজীবী সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদকের কাছে কল দেন আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের গুন্ডারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন এবং জসিম নিজেও শিক্ষার্থীদের মারধর করতে দেখা যায়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর ৪৩ এর ৪ ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হইতে পারিবেন না৷’ তিনি সংবিধান পরিপন্থি করে স্থানীয় আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ আছে ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রলীগের সমন্বায়ক পাবেল রানা বলেন, যে শিক্ষক কর্মকর্তা বা কর্মচারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলনে বাঁধা দিয়েছে তাদেরকে আমরা ক্যাম্পাসে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish