Top 5 This Week

“আমি এমন কর্মচারী, মালিককেও শাস্তি দিতে পারি” — ইউএনও’র হুমকির ভিডিও ভাইরাল

Spread the love

বিডিটাইম ডেস্ক

পটুয়াখালীর বাউফলে ‘অবহিত না করে’ অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের হুমকিমূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯মে) দুপুরে বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়ে উপস্থিত হয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। সেই সময় তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবং কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এএইচএম শহীদুল হক (এমরান হাসান সোহেল)-কে বলেন, “আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী, মালিককেও শাস্তি দিতে পারি”। এই বক্তব্যের ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলাম ও শহীদুল হকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ইউএনও বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি মনে করেন নিজেকে?’ জবাবে শহীদুল হক বলেন, ‘আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, একজন কৃষকের ফোনও ধরতে বাধ্য।’

এই সময় ইউএনও হুমকির সুরে বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন কর্মচারী, মালিককেও শাস্তি দিতে পারি।’এমন মন্তব্যে প্রশাসনিক আচরণ ও কর্তৃত্বের সীমা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এএইচএম শহীদুল হক বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে ইউএনও কার্যালয়ে একাধিকবার গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি, ফোন করলেও ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনও এসেই চটে গিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন, যা একজন সরকারি কর্মকর্তার আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যায় না।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমি ইউএনও মহোদয়কে মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আয়োজক কমিটি তাঁকে পৃথকভাবে অবহিত করেনি।’

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একটি বার্তায় জানান তিনি ‘ব্যস্ত’।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য আমার কাছে আসেনি। পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তার এমন বক্তব্য ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রীয় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ইঙ্গিতবাহী। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক, শাসক নন—এটি মনে রাখা প্রয়োজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish