Top 5 This Week

কুবি সায়েন্স ক্লাবের নবীনবরণ ও বিজ্ঞান কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি

“বিজ্ঞানকে জানো, বিশ্বকে জানো” প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ২০২৩–২৪ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিজ্ঞানচর্চা উৎসাহিত করতে আয়োজন করে ‘নবীনবরণ ও বিজ্ঞান কর্মশালা’।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় শুভেচ্ছা বার্তা ও আকর্ষণীয় উপহার প্রদানের মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোমতি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. মো. মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহাদাত হোসেন,আইসিটি বিভাগের প্রভাষক খোন্দকার অলিউল্লাহ, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মাসুদ পারভেজ সবুজ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রাণবন্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শjহাদাত হোসেন বলেন,“কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবকে এমনভাবে কাজ করে যেতে হবে, যাতে তারা কুমিল্লা অঞ্চলে বিজ্ঞানচর্চাকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ড যেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পৌঁছে, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নবীন সদস্যদের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।”

আইসিটি বিভাগের প্রভাষক খোন্দকার অলিউল্লাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে আলোচনায় বলেন, “বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) চিকিৎসা খাতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। রোগ শনাক্তকরণ, স্বাস্থ্য পূর্বাভাস এবং রোগীর তথ্য বিশ্লেষণে AI অত্যন্ত কার্যকর। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নৈতিক সচেতনতা জরুরি।”

ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর শুধু মেধা নয়, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা—যেমন সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম—একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

প্রধান অতিথি ড. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, “যারা ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে, তাদের অবশ্যই নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট ও মানসিকভাবে সচেতন রাখতে হবে। প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য জ্ঞানের সমন্বয় একজন তরুণকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”

সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি জনি সরকার বলেন, “সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে তুলতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে—যেমন বিজ্ঞান কর্মশালা, বিজ্ঞান উৎসব, প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রভৃতি। তোমরা যারা নবাগত, তোমরাই একদিন এই ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সায়েন্স ক্লাব একটি পরিবারের মতো—এই পরিবারে অগ্রজ-অনুজ সবার মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যাবো।”

অনুষ্ঠানের শেষাংশে অনুষ্ঠিত হয় কেস স্টাডি প্রতিযোগিতা, যেখানে বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish