বিডিটাইম ডেস্ক
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ‘ঢাকাইয়া আকবর’ (৪৪) দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় আকবর সৈকতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০–১২ জনের একটি দল আকস্মিকভাবে সেখানে গিয়ে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আকবর মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আকবরের স্বজনদের দাবি, এই হামলার পেছনে কারাগারে আটক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা জড়িত। আকবর ও সরোয়ার হোসেন, সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সরোয়ারকে লক্ষ্য করে চালানো গুলিতে দুজন নিহত হন। যদিও সরোয়ার প্রাণে বেঁচে যান।
আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার বাসিন্দা এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকবর প্রায়ই সাজ্জাদ হোসেন ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে নিয়ে কটূক্তিমূলক ভিডিও পোস্ট করতেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তামান্নাও তাকে হুমকি দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করতেন।
এদিন সৈকতে প্রচুর দর্শনার্থী উপস্থিত থাকায় গুলির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই অভিযোগ করেন, সৈকতে পুলিশি টহল না থাকায় জনবহুল স্থানে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাহমুদা বেগম জানান, “পতেঙ্গা সৈকতে একজনকে গুলি করার খবর পেয়েছি। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা ঘটনার পেছনে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২৯ মার্চ বাকলিয়ায় তার প্রতিপক্ষ সরোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানান, ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়া এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তারা হামলা চালিয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ কারাগারে থাকলেও তার অনুসারীদের অধিকাংশ এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।