বিডিটাইম ডেস্ক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের নির্দেশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
একই সঙ্গে শপথ লঙ্ঘনের পরও মাহফুজ আলম কীভাবে উপদেষ্টা পদে বহাল আছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, “মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপ আমি সমর্থন করি না। সকালে প্রতিবাদও জানিয়েছি। কিন্তু তার অডিও ফাঁস হওয়া বক্তব্য নিশ্চয়ই শুনেছেন—সে কী মানসিকতার লোক! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছে, অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন, অসংখ্য শিক্ষার্থীর শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে। মাহফুজ আলমদের নির্দেশেই এসব হামলা ও রক্ত ঝরানোর ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আপনাদের কাছে বোতল নিক্ষেপের প্রতিবাদই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রক্তের কোনো মূল্য নেই! শিক্ষকের ওপর হামলার কোনো প্রতিবাদ নেই! একপক্ষীয় এই প্রতিবাদের কারণ আমরা বুঝি। হ্যাডম থাকলে দুটো ঘটনারই প্রতিবাদ করুন।”
রাশেদ খান আরও বলেন,“গতকাল হামলার পর তো কোনো প্রতিবাদ দেখিনি। জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কি তবে মাহফুজের ওপর বোতল নিক্ষেপে বৈধতা পেয়ে গেল? এখান থেকেই প্রমাণিত, এই উপদেষ্টাদের নির্দেশেই হামলা হয়েছে।”
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, “এই হামলার প্রতিক্রিয়া যে বোতল নিক্ষেপ নয়, তা কিভাবে বলবেন? মাহফুজকে যারা কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন—এই ব্যক্তি ছাত্র-জনতার সম্ভাব্য গণঅভ্যুত্থান এবং রাষ্ট্র সংস্কারের পথে বড় বাধা। তিনিই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড।”
রাশেদ খান তার পোস্টে মাহফুজ আলমের অতীত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “মাহফুজ নিজেও এক সময় শিবির করত। এখন সে নিজেকে প্রগতিশীল হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া। এতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু উপদেষ্টা হিসেবে শপথ ভঙ্গ করার পরও কিভাবে পদে বহাল থাকে—এই প্রশ্ন থেকেই যায়।”
তিনি বলেন, “দেশের এই ক্ষতির জন্য ভবিষ্যতে সবাইকে যেমন জবাবদিহি করতে হবে, তাকেও করতে হবে। কারণ, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে যে ভাঙন ধরেছে, তার জন্য পুরোপুরি দায়ী এই কথিত টিএসসি-ভিত্তিক বুদ্ধিজীবী।”
এ বিষয়ে মাহফুজ আলমের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।