বিডিটাইম ডেস্ক
দিনভর অতিবৃষ্টির কারণে কুমিল্লা ও ফেনী জেলার দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার(৯ জুলাই) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পানির ঢলে এসব অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষকরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই পূর্বাভাস দেন।
তিনি জানান, ভারতের আগরতলায় স্থাপিত রাডারে মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪২ মিনিটে দেখা গেছে—চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একই সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আজ রাতভর চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে, তার অন্যতম কারণ একটি মৌসুমি লঘুচাপ যা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একই স্থানে অবস্থান করছে। এই লঘুচাপ বুধবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর অবস্থান করতে পারে, যার ফলে এই দুই বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
বিশেষভাবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ত্রিপুরায় যেহেতু ইতোমধ্যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সেই পানি মুহুরী ও গোমতী নদী হয়ে কুমিল্লা ও ফেনীতে প্রবাহিত হতে পারে। এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।