বিডিটাইম ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মোড় তৈরি হলো আজ। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের চাপে অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল লিখিত বক্তব্যে সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধিত আইনের আওতায় এখন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গসংগঠন এবং সমর্থক গোষ্ঠীকেও শাস্তি দিতে পারবে।
এই আইনের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ড. আসিফ বলেন—“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা, এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে দলের যাবতীয় কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এই নিষেধাজ্ঞা সাইবার স্পেসসহ দলের সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের উপর প্রযোজ্য হবে, এবং এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন শিগগিরই জারি করা হবে।