বিডিটাইম ডেস্ক
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৮১৫ জন পুলিশ সদস্য ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
বিশ্ব শান্তির জন্য দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশের ২৪ জন শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের এই ত্যাগ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার ও ভূমিকার প্রতীক হয়ে রয়েছে।
বর্তমানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ১২৮ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারীসহ মোট ১৯৯ জন পুলিশ সদস্য।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরাও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৯২৭ জন নারী পুলিশ সদস্য সফলতার সঙ্গে বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা নারী ক্ষমতায়ন ও বৈশ্বিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের আন্তর্জাতিক মিশনে অংশগ্রহণ শুধু শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিশ্ব পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশের পুলিশিং ব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন ও অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি পুলিশ সদস্যদের মানুষের আরও কাছে যেতে, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সেবার মানসিকতা আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ও অনন্য ভূমিকা আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।