যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণ-ইফতারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসছে ‘উন্নত মম শির’।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রায় দেড় হাজারের অধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এ গণ ইফতার আয়োজন করে উন্নত মম শির। ইফতার পরবর্তীতে যবিপ্রবির নামে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টাইমলাইনে প্রশংসায় ভাসছে উন্নত মম শির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক মন্তব্যে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ইঞ্জি… ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম ‘উন্নত মম শির’ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় গণ ইফতারের আয়োজন করল। উন্নত মম শিরের সকলকে অনেক অনেক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর এবং বড় গণ ইফতারের প্রোগ্রাম হয়েছে। মহান আল্লাহ তালা তোমাদের এই ভালো উদ্যোগ এবং সেবা মূলক কাজকে কবুল করে নিন।
পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা আজকে চমৎকার একটি ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করলাম। আমার সম্মানিত সকল সহকর্মী, যারা অর্থনৈতিকভাবে এবং উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষভাবে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সম্মানিত পরিচালক স্নেহভাজন ড. মো: রাফিউল হাসানকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছ এবং উপস্থিত থেকে আমাদের এই আয়োজনকে সফল করেছো সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই কাজের বিনিময়ে দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণ দান করেন, সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমাদের এই কাজকে কবুল করে নেন।
আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো. ফরহাদ বুলবুল বলেন, উন্নত মম শির একটি বিপ্লব, একটি সংস্কৃতি শুরু করেছে এবং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । আমরা সাক্ষী হলাম সেই দৃষ্টান্তমূলক কাজের, আর সাক্ষী হলাম এক বিপ্লবের, আর সাক্ষী হলাম এক নতুন সংস্কৃতির । দোয়া রইলো সকলের জন্য । সামনের দিনগুলো এমন সুন্দর কাজে পূর্ণ থাকুক।
এক শিক্ষার্থী বলেন, যবিপ্রবির মত জায়গায় যে গণ ইফতার করবো কখনও সেটা ভাবিনি এক বারে ক্যাম্পাস লাইফের শেষে এসে যদিও পেয়েছি সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ উন্নত মম শির,যবিপ্রবি কে। অবিরাম ভালোবাসা এগিয়ে যাবে নিজের গতিতে এবং সাধারণ মানুষের সংগঠন হবে এই কামনা করি।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো এতো বড় একটা আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।আশা করি এমন আয়োজন ক্যাম্পাসে উন্নত মম শির,যবিপ্রবি প্রতি বছরই করবে ইনশা আল্লাহ।