যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার, ৯ মে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগের এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় আর্কিটেকচারের ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।
এ বছর যবিপ্রবি কেন্দ্রের ‘এ’ ইউনিটে মোট ৫৮৫১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হন। পরীক্ষার দিন ৯৩ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ উপস্থিতির হার।
ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যবিপ্রবি প্রশাসন আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, “এই পরীক্ষাটি অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সার্বিক সহায়তায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবী ক্লাব ও সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান, যারা পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিশেষ করে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা ও সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসজুড়ে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র ও ভবন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশমুখে ছিলো নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যরা। পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও বাইরের পরিবেশ ছিলো নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকে জানান, যবিপ্রবির পরিবেশ ও সহায়তাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা তাদের মনে সাহস ও স্বস্তি জুগিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ ও পরীক্ষার্থী বান্ধব করতে ভবিষ্যতেও যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।