বিডিটাইম ডেস্ক
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার গুঞ্জন এখন চট্টগ্রাম পেরিয়ে সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে সেই গুঞ্জন আরও জোরালো করেছেন এই জনপ্রিয় ক্রিকেটার।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আয়োজিত সমাবেশে বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন তামিম। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে স্বাগত জানান এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রথম সারিতে বসানো হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বক্তব্যও রাখেন তামিম।
তাঁর বক্তব্যে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা না থাকলেও ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু মন্তব্য এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কথা রাজনীতিতে তাঁর সম্ভাব্য পদচারণার আভাস দিচ্ছে।
তামিম বলেন, “চট্টগ্রামের খেলাধুলা নিয়ে আমার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের নিয়মিত কথা হয়। আমরা কীভাবে চট্টগ্রামের খেলাধুলাকে আগের জায়গায় নিয়ে আসতে পারি, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত, তাঁরা যখন সুযোগ পাবেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে। ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন—যেকোনো ইভেন্ট প্রোমোট করবেন।”
তামিমের এই বক্তব্যে স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার ফুটে উঠলেও, রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগ্রহও আভাসিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অনেকেই মনে করছেন, এটি হতে পারে তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ইনিংসের সূচনাবিন্দু।
বক্তব্যের একপর্যায়ে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে তামিম বলেন, “আজ আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে খুশি। আপনারা জানেন আমি অসুস্থ। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। বেশি কথা বলা উচিত নয়।”
এই সংক্ষিপ্ত অথচ তাৎপর্যপূর্ণ উপস্থিতি ও বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা—তামিম কি বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন? আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে? নাকি ক্রীড়া প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসছেন?
তামিমের এই উপস্থিতি রাজনীতির মাঠে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে, আর তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের মনে তৈরি হয়েছে নতুন কৌতূহল—তামিমের পরবর্তী ইনিংস কি তবে রাজনীতির মাঠে?