বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুটেক্স) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আসন সংখ্যা মাত্র ৫৫টি। গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ছাড়া লাইব্রেরিতে বসার সুযোগ হয় না ২৯৪৫ জন শিক্ষার্থীর। এছাড়াও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ সুবিধা নেই বুটেক্সের লাইব্রেরিতে। নেই পড়াশোনার পরিবেশ। এমনকি কোন দুর্ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটিতে সংখ্যা অপ্রতুল হলেও আগে আসন সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে লাইব্রেরির জায়গায় বুটেক্স ডিসপ্লে কর্ণারের জন্য ছেড়ে দেওয়ার কারণে লাইব্রেরির আসন সংখ্যা কমে যায়।
দিব্যজিত বর্ষণ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসা হয় কিন্তু গরম আসলেই বিপাকে পড়তে হয়। সিটি বা সেমিস্টার ফাইনালের সময়টাতে লাইব্রেরিতে জায়গা পাওয়া যায়না। লাইব্রেরিতে টেক্সটাইল রিলেটেড বইয়ের সংখ্যাও খুবই কম, এছাড়া একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য,ফিকশন,রিসার্চ জার্নাল নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যাগুলো বিবেচনা করলে আমরা যারা লাইব্রেরিতে পড়তে আসি তাদের অনেক উপকার হবে।
পিয়াল আহমেদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা কম। এসির ব্যবস্থা নেই আবার সিলিং ফ্যানের সংখ্যাও কম। এই তীব্র গরমে পড়তে যেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার লাইব্রেরি অফ থাকে এই দুইদিন খোলা রাখার ব্যবস্থা থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতি শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ইনচার্জ মাহফুজা বেগম বলেন, আমাদের মূলত ক্যাম্পাসটি ছোট। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে আসন সংখ্যা শিক্ষার্থী অনুপাতে কম, নতুন ভবনের কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এছাড়া আসন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া আমরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি পুরোটা এসি করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানাইছি সেটাও কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।