বিডিটাইম ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী ২০২৬ সালের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচন গণতন্ত্রে উত্তরণের বড় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটার তালিকা তৈরি, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস এবং নির্বাচনী কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ করছে—যা আগের সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিল। এবার আমাদের তরুণরা জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।”
সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ কালে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। আলোচনা চলে প্রায় ১৫ মিনিট, যা ছিল উষ্ণ, আন্তরিক ও গঠনমূলক বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন এবং বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের পথ তৈরি করছে। আমরা চাই, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক কাঠামোয় প্রবেশ করুক।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্প্রতি ওয়াশিংটনে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা ফলপ্রসূ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমরা একটি কার্যকর পদক্ষেপ প্যাকেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য এজেন্ডার উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দিতে পারি।”
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের একটি বাস্তবসম্মত সমাধানের সম্ভাবনা এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।”
আলোচনায় উভয় নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
শেষে অধ্যাপক ইউনূস মার্কো রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যেন তিনি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে থাকবে।”