Top 5 This Week

কুবিতে রমাদান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) মুসলিম শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘মুসলিম ইয়ুথ সোসাইটি’ এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মসজিদে রমাদান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টায় এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান কাসেমী সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সালমানপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ খতিব হাফেজ মাওলানা ফজলে এলাহী।

মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও সীরাত গবেষক, শাইখুল হাদিস জামিয়া কাসিম নানুতবী (ঢাকা) মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মুহতামিম মাদরাসায়ে আশরাফিয়া দারুল উলুম, কুমিল্লা মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী।

 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সভাপতি ও রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. এম রায়হান উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

এ সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান কাসেমী রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং বলেন রোজা মুমিনগণের জাহান্নামের ঢাল স্বরূপ। রোজাদারের প্রতি আল্লহর রহমত থাকে। সেহরি ও ইফতারে হালাল খাবার গ্রহণ করতে হবে।

মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর সুন্দর আয়োজনের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম ধর্মের জ্ঞান উন্মুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় ইসলামি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন।

অন্য মাসে নেক কাজ করলে দশ নেকি পাওয়া যায়, রমাদান মাসে করলে সত্তর গুণ বেশি পাওয়া যায়। সাহাবিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। রমজান মাসের বিশেষত্ব হল আল কোরআন নাজিল। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের পদচারণা আছে।

ইসলাম এক মাত্র ধর্ম যে ধর্মের ধর্মগ্রন্থ সামান্য পরিমাণ পর্যন্ত বিকৃতি হয় নি। তাকওয়া মূল কথা সাবধান হওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের যা করতে বলেছে সেটা মেনে চলা অপরদিকে যেটা নিষেধ করছে সেটা না করা।

তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রয়োজন জ্ঞান অর্জন। আল কোরআন পালনের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর করে গড়ে তুলবো। তাই সকলেই আল কোরআন শেখার আহ্বান করেন।

রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. এম রায়হান উদ্দিন সেমিনারে গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ সেমিনার আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

এমন সেমিনার মানুষকে দ্বীনের পথে রাখবে, সুশৃঙ্খল জীবনের দিকে ধাবিত করবে। সামাজিক অবক্ষয় থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনবে। যদি হলগুলোতে এই প্র্যাক্টিস ছড়িয়ে পড়ে তাহলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান প্রচার হবে। আমি আশাবাদী এমন সেমিনার ভবিষ্যতে আরো হবে।

মুসলিম ইয়ুথ সোসাইটির প্রবীণ সদস্য সুলাইমান তুষার বলেন, রমজানের ফজিলত ও প্রস্তুতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করাই আজকের সেমিনারের আয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমি পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান জানা অবশ্যক। আশা করি আজকের সেমিনারে মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞানে গুরুত্ব পাবে ইনশাআল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish