কুমিল্লায় অবৈধ পরকীয়া প্রেমের বলি শিশু সায়মন হত্যার মূল আসামি গ্রেফতার

0
36

 

শাহ ইমরান ,কুমিল্লা

কুমিল্লায় পরকীয়া দেখে “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু” বলায় সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

এ ঘটনা জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সে এবং এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালি আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শেফালি আক্তার সম্পর্কে তার জেঠস (স্ত্রীর বড় বোন)।

শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে একটা অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে। এসময় সায়মন বলে যে, “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু।”

শিশু সায়মনের এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে। একই সাথে সায়মন যেন এই কথা কাউকে জানাতে না পারে এটি নিশ্চিত করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে। শেফালি তার ঘরে থাকা আলমারির ওপর থেকে ছুরি এনে দিলে আসামি বিল্লাল শিশু সায়মনের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছুরিকাঘাত করে।

এভাবে সে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আসামি বিল্লাল ও শেফালি ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তায় সায়মনের লাশ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোপের মধ্যে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here