বুশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুশেমুরবিপ্রবিতে পালিত হয়েছে গণিত দিবস।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা ১২ ঘটিকায় পাই দিবসের উপলক্ষে একটি র্যালি করা হয়। র্যালি টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এতে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুব , উপ-উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুল আলম , ট্রেজারার ড. মোঃ মোবারক হোসেন এবং গণিত বিভাগের সভাপতি ড. দীপংকর কুমারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বশেমুরবিপ্রবির গণিত বিভাগের সভাপতি ড. দীপংকর কুমার বলেন ,লজিক ডেভলপমেন্ট, প্রকৌশল খাত,ডাটা ট্রান্সপোর্ট সম্ভব হয়েছে ম্যাথমেটেশিয়ান (গণিতবিদ)দের কারণে। গণিত ছাড়া এগুলো কল্পনা করা কখনোই সম্ভব নয়।
আমাদের দেশের ওয়েদার প্রেডিকশন (আবহাওয়া সম্ভাবনা )খাতের সাথে উন্নত বিশ্বের ওয়েদার প্রেডিকশন খাতের তুলনা করে তিনি বলেন, আবহাওয়ার উপর আরও ভালো প্রডিকশন (সম্ভাবনা) তৈরি করার জন্য আমাদের দেশে ভালো মানের গণিতবিদ প্রয়োজন।
এছাড়াও বাস্তব জীবনে গণিতের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, গণিতের সমৃদ্ধির জন্য গণিতকে ভালোবাসত হবে এবং গবেষণা খাতে গণিত নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মিনারুল ইসলাম এবং সহযোগী অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আবিষ্কার হওয়া রহস্যময় পাই সংখ্যা ১৭৩৭ সালে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সুইস গণিতবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী লিওনহার্ড অয়লারের মাধ্যমে। প্রকৌশল, স্থপতি, ডিজাইন,লজিক সমাধান থেকে শুরু করে অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে পাইয়ের ব্যবহার হয়ে থাকেন।
১৯৮৮ সালে এই পাইয়ের জন্য একটি দিনক্ষন ঠিক করেন পদার্থবিদ ল্যারি ‘শ’।যেহেতু পাইয়ের মান ৩.১৪…… তাই দিনটি পালনের জন্য তৃতীয় মাসের ১৪ তম দিন অর্থাৎ ১৪ মার্চকে ঠিক করেন তিনি। যা ২০০৯ সালে সান ল্যারি ‘শ’ এর কর্মস্থল ফ্রান্সিসকোর জাদুঘরে পাই দিবস হিসেবে পালিত হয়।
ইউনেস্কো ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস (আইডিএম) হিসেবে ঘোষণা করে।২০২০ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়। যা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর গণিত বিভাগের উদ্যোগে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, এবছর আন্তর্জাতিক গণিত দিবসের থিম ছিল ‘প্লেয়িং উইথ ম্যাথ’ অর্থাৎ গণিত নিয়ে খেলা।