Top 5 This Week

তবে কি প্রক্টরের হাতে অনিরাপদ সহকর্মীরা?

 

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা কাজী ওমর সিদ্দিকীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। এছাড়াও উপাচার্য কর্তৃক কনুইয়ের আঘাতের শিকার হয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মোর্শেদ রায়হান।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনকে তার কার্যালয়ে প্রবেশকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগেও খেলার মাঠে প্রক্টরের হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রক্টরের ইন্ধনেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর বারবার হামলে পড়ছেন সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা৷ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতি কর্তৃক প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পরেও পদে বহাল রয়েছেন তিনি। ফলে প্রক্টরের হাতে নিজেদের অনিরাপদ মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, প্রক্টর এতদিন সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা করিয়েছেন। কিন্তু আজকে তিনি সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিজেই নগ্নভাবে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস-উল-ইসলামকে আক্রমণ করেছেন। আমরা জানি এর আগে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালেও এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছেন। তার অধীনেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। তিনি একজন ভূমিদস্যু। তিনি সন্ত্রাসী পালন করেন। শিক্ষক সমিতি এই প্রক্টরকেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। আজকে শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে সেটারই প্রমাণই তিনি দিয়েছেন। উপাচার্য এবং প্রক্টর আজকে সন্ত্রাসী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। আমরা মনে করি উপাচার্য এবং প্রক্টর দুইজন সন্ত্রাসী সহদর।

অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, শুধু আজকের ঘটনাই না এর পূর্বেও বিভিন্ন সময় বর্তমান প্রক্টরের মাধ্যমে অনেকেই শারীরিকভাবে নির্যাতন হয়েছে। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রকাশ্য দিবালোকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীকে চড় মারা। তখন ছাত্র -ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাননীয় উপাচার্য কোন ব্যবস্হা গ্রহণ করেননি। প্রকৃতপক্ষে প্রক্টর উপাচার্যের প্রশ্রয়ে দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে গেছেন। যার ফলেশ্রুতিতে আজকে শিক্ষকদের উপর এমন হামলা করলেন। উপাচার্যের আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রক্টরের অতীতের অন্যায়গুলো বিচারের আওতায় না আনার কারণে আজকে ঘটনা ঘটেছে। আমি শিক্ষক এবং সাবেক প্রক্টেরিয়াল বডির সদস্য হয়ে বলতে চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রক্টেরকে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কারো উপর সরাসরি কোন হামলা না করে।

হামলার বিষয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, যে প্রক্টর নিরাপত্তার প্রধান ওনিই হামলা করেছে। সহকর্মীদের উপর হাত তুলেছে। আসলে এবিষয় নিয়ে আমি বাকরুদ্ধ। নিরাপত্তার প্রধানই উপাচার্যের নির্দেশনায় হামলা করেছে এখানে আমরা কার কাছে বিচার দিব? এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।

এবিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি৷ এবং কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish